ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার একটি জ্বালানি তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছে দুই শিশুসহ আরো অর্ধশতাধিক। ক্ষতিগ্রস্ত এই তেলের ডিপোটি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস কম্পানি পেরতামিনার। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ছয় শরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা।

উত্তর জাকার্তার তানাহ মেরাহ এলাকায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আকস্মিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন লাগার পর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। এলাকার মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এপি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার মোট জ্বালানি তেলের চাহিদার ২৫ শতাংশ সরবরাহ আসে এই ডিপো থেকে।

ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের ২৬০ জন কর্মী ও ৫২টি ইঞ্জিন আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আশপাশের বাড়ি-ঘর থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় কম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী এরিক থোহির পেরতামিনার এই অগ্নিকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

পেরতামিনার এরিয়া ম্যানেজার ইকো ক্রিস্টিয়াওয়ান বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ভারী বৃষ্টির মধ্যে একটি পাইপলাইন ফেটে গিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সম্ভবত বজ্রপাতের কারণে পাইপটি ফেটে গিয়েছিল।’ কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ১৭ বললেও পরে তা সংশোধন করে ১৩ জনে উন্নীত করে। উত্তর জাকার্তার ফায়ার ফাইটার কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহিদ জানিয়েছেন, আজ শনিবার ভোরে আগুন নিভে গেছে।

তেল ও গ্যাস ফার্মের প্রধান নির্বাহী নিক বিদ্যাবতী বলেছেন, তারা অভ্যন্তরীণভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করবেন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ অগ্নিকাণ্ডের কারণে দেশের কোথাও জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। নিক বিদ্যাবতী বলেছেন, পার্শ্ববর্তী তেলের টার্মিনাল থেকে নিরাপদে তেলের ব্যাকআপ সরবরাহ করা হয়েছে।

রাকিব/এখন সময়